চীনের দূতাবাস মঙ্গলবারের একটি সরকারি বিবৃতি থেকে একটি লাইন উদ্ধৃত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ জানিয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্র যদি যেকোনো ধরনের যুদ্ধ চায়—শুল্ক যুদ্ধ, বাণিজ্য যুদ্ধ বা অন্য কিছু—তাহলে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে প্রস্তুত।”
গত জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। তার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে চীনের পক্ষ থেকে এটিই সবচেয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া, যা এমন এক সময়ে এসেছে যখন বেইজিংয়ে ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, বুধবার চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং ঘোষণা করেছেন যে, চলতি বছরে দেশটির প্রতিরক্ষা বাজেট ৭.২ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, “বিশ্বব্যাপী এক শতাব্দীর মধ্যে দেখা যায়নি এমন পরিবর্তনগুলো দ্রুত ঘটছে।” প্রতিরক্ষা খাতে এই ব্যয় বৃদ্ধি পূর্বানুমিত ছিল এবং এটি গত বছরের হারটির সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।
বিবিসির মতে, বেইজিংয়ের নেতৃত্ব চীনের জনগণের উদ্দেশ্যে আত্মবিশ্বাসের একটি বার্তা দিতে চায় যে, তাদের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধির ধারায় রয়েছে, এমনকি বাণিজ্য যুদ্ধের হুমকির মধ্যেও।
এছাড়া, চীন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে একটি স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে উপস্থাপন করতে আগ্রহী, একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগও করে আসছে।