বরগুনায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করার মাত্র এক সপ্তাহ পরই এক বাবার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে তাঁর মরদেহ বাড়ির পেছনের ঝোপ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগ, ধর্ষণের মামলার আসামির স্বজন ও বন্ধুরা তাকে হত্যা করেছে।
কী ঘটেছিল?
নিহত ব্যক্তি বরগুনা পৌর বাজারের একটি মুরগির দোকানে কাজ করতেন। পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ৪ মার্চ রাতে অপহরণের পর ধর্ষণের শিকার হয় তাঁর সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে। পরদিন সকালে বরগুনা ডিসি পার্ক এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। এরপরই শ্রীজিৎ নামের এক যুবককে আসামি করে মামলা করেন তিনি।
গতকাল বুধবার মামলার শুনানির দিন ছিল। এর আগের রাতেই বাদীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
মৃত্যুর আগে কী ঘটেছিল?
পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিহত ব্যক্তি তাঁর বোনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং জানান, মামলার আসামির লোকজন একজোট হয়েছে। বোন তখন তাঁকে সাবধান থাকতে বলেন।
সেই রাতেই স্ত্রীকে ফোন করে জানান, দোকানে মুরগির লট নামিয়ে তিনি দেরি করে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে না ফেরায় স্ত্রী ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। রাত ১টার দিকে বাড়ির পেছনে মোবাইলের রিংটোন শুনে স্ত্রী বাইরে গিয়ে ঝোপের মধ্যে তাঁর কাদামাখা মরদেহ দেখতে পান।
পুলিশ কী বলছে?
বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, “প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে এবং চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।”
এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের পরিবার দ্রুত বিচার ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে।