পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার বান্নু জেলায় একটি নিরাপত্তা স্থাপনায় ভয়াবহ বোমা হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানায় আল জাজিরা।
একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এপিকে জানান, দুই হামলাকারী বিস্ফোরক বোঝাই দুটি গাড়ি নিয়ে কম্পাউন্ডের দেয়ালে আঘাত হানে, এরপর অন্যান্য হামলাকারীরা ভেতরে প্রবেশ করে।
বান্নু জেলা হাসপাতালের মুখপাত্র মুহাম্মদ নোমান জানান, হামলায় ১২ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন, যাদের সবাই বেসামরিক নাগরিক। ধসে পড়া ভবন ও দেয়ালের নিচে আটকা পড়ার ফলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে সাতজন শিশু রয়েছে বলে হাসপাতালের তালিকা থেকে জানা গেছে।
পাকিস্তান তালেবানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করে দাবি করেছে যে, পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে দেশটির সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে ছয়জন হামলাকারী নিহত হয়েছে। বিস্ফোরণের শক্তিশালী প্রভাবের কারণে কম্পাউন্ড এলাকায় চার ফুট গভীর দুটি গর্ত সৃষ্টি হয় এবং আশপাশের অন্তত আটটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জৈশ আল-ফুরসান নামের গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা জানায়, বিস্ফোরক বোঝাই যানবাহন ব্যবহার করেই এই হামলা চালানো হয়েছে। এটি রমজান মাস শুরুর পর পাকিস্তানে ঘটে যাওয়া তৃতীয় হামলা।
খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গন্ডাপুর এই হামলার নিন্দা জানিয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন চেয়েছেন।এ
এই হামলার ঘটনা পাকিস্তানের একটি ইসলামী ধর্মীয় স্কুলে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত হওয়ার কয়েকদিন পর ঘটল।